Corona
All FAQs related to Corona Virus.
বাজারে অনেক ধরণের “জীবাণু-নাশক / ক্লিনার ইত্যাদি থাকলেও যে গুটি কতক জীবাণু নাশক (disinfectant )’ করোনা’ ভাইরাস ধ্বংসে গবেষণালব্ধ প্রমান দ্বারা সত্যিকার কার্যকর বলে আন্তর্জাতিকভাবে এবং ‘WHO’ কর্তৃক স্বীকৃত .. সেগুলো হলো :
- সাবান (Detergent) (সর্বোত্তম উপায় -হাত জীবাণুমুক্ত করতে)
- পারঅক্সাইড
- ৭০% এলকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার (সাবান / পানি না থাকলে – হাত জীবাণুমুক্ত করার পানিবিহীন বিকল্প ‘তরল’ )
- ০.১% ব্লিচ (Bleach) মেশানো ক্যামিক্যাল – ঘরে বাইরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য, কিংবা জিনিস পত্র জীবাণুমুক্ত করার জন্য।
‘করোনা’ ধ্বংসের উপায় হিসাবে সমাজে / ইন্টারনেটে / ‘ফেস বুক’-এ অনেক ‘ ধারণা’ প্রচলিত আছে যেগুলোর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমান নাই , সেসব বিভ্রান্তিকর মনগড়া ব্যবস্থা অনুসরণ করে নিজেকে ‘করোনা’ সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলবেন না।
মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসাবে স্বতঃ গৃহবন্দী (Self Isolation)-পালন করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের সরকারি-বেসরকারি নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েব সাইটের পরামর্শের আলোকে বাংলাদেশের পটভূমিতে করণীয় একটি তালিকা এখানে জনস্বার্থে উপস্থাপন করা হলো :
** ‘করোনা’ ধরা পড়লে:
- চিকিৎসকের উপদেশ মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।
- ‘স্বতঃ গৃহবন্দী’ (Self Isolation)-এ একাকী যাওয়াটা জরুরি,
- যদি একাকী থাকা সম্ভব না হয় তবে নিজ ঘরে থাকলেও , পরিবারের বাকি সবার সাথে নিরাপদ দূরত্ব পালন করতে হবে,
- মাস্ক পড়তে হবে সবাইকে , বিশেষত রুগীকে,
- রুম / বিছানা / বাথরুম/ টয়লেট / ব্যবহার্য (গ্লাস, প্লেট, ইত্যাদি) আলাদা হতে হবে – যা অন্যরা ব্যবহার করবে না.
** আরো কিছু ধাপ পালন করতে হবে সবাইকে স্বতঃ গৃহবন্দী (Self Isolation)- সময়ে (“করোনা’ না থাকলেও) :
- একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির/ সীমানার বাইরে যাবেন না.
- জন-সাধারণের জায়গা গুলো (public place) যেমন রাস্তা ঘাট, দোকান-পাট, পার্ক, বাজার, শপিং সেন্টার ইত্যাদি স্থানে না যাওয়া,
- বন্ধুবান্ধব-আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশী -এমনকি ফকির, ডাক পিওন, , ছুটা বুয়া – বাইরের কাউকেই ঘরে প্রবেশ করতে না দেয়া,
- সব ধরণের আড্ডা, দাওয়াত বন্ধ – খাওয়া কিংবা খাওয়ানো দুটোই বন্ধ !
- বন্ধুবান্ধব- স্বজন- সবার সাথে যোগাযোগ হবে নিয়মিত – মোবাইলে, ফোন কিংবা ফেস বুক-এ / চ্যাট-এ (ইন্টারনেটে) -কিন্তু সামনাসামনি নয়। .
- একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (ওষুধ, খাবার, চিঠিপত্র ইত্যাদি) আদান প্রদান হবে ঘরের বাইরে – সম্মুখ যোগাযোগ ছাড়া – অর্থাৎ জিনিসটি সীমানা/ গেইট-এর বাইরে রেখে দূরে সরে থাকবে একজন এবং আরেকজন এসে তা গ্রহণ করবে, প্রয়োজনীয় আলাপ মোবাইলে সারতে হবে।
- বাইরে থেকে আসা চিঠি / পার্সেল / প্যাকেট / খাবার/ কেনা কাটার জিনিস .. ইত্যাদি – স্পর্শ করার আগে / ব্যবহারের আগে – সাবান/ জীবাণু নাশক দিয়ে সম্ভাব্য জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- ঘরের ফার্নিচার, দরজার নব, চেয়ার টেবিল, মেঝে , রিমোট, কম্পিউটার, ইত্যাদি নিয়মিত ‘জীবাণুনাশক’ (disinfectant ) দিয়ে মুছতে হবে।
- ঘরের দরজা -জানাল খুলে রেখে আলো -বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে,
- এই সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুস্থতা দু-ই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম, বাগান করা, ঘরের কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মঠ থাকুন এবং ধর্ম চর্চা , পরিবারের সাথে সময় কাটানো, ফোন / ফেস বুকে বন্ধু, আত্মীয় পরিজনের সাথে যোগাযোগ, টিভি-তে সিনেমা দেখা, গান শোনা , গল্পের বই পড়া ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। সারাক্ষন টিভি- রেডিও, / পত্রিকায় – ‘করোনা’ আলোচনার উপর ব্যস্ত না থেকে মাঝে মধ্যে রিল্যাক্স করতে হবে।
করোনা ভাইরাস- দ্বারা সৃষ্ট রোগ-এর অফিসিয়াল নাম COVID-19. এই রোগের লক্ষণ সাধারণ সর্দি- কাশির (Flue) মতো যা পরবর্তীতে জটিল হয়ে শ্বাস তন্ত্রে ইনফেকশন (প্রদাহ) সৃষ্টি করে, ফলে শ্বাস কষ্ট হয়।
সুস্থ সবল সাধারণ মানুষের জন্য এটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। এই রোগে আক্রান্ত ৮০% মানুষের-ই কোনো বিশেষিত ( Specialized ) চিকিৎসার দরকার হয় না।
তবে বৃদ্ধ অথবা পূর্ব থেকে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্ত চাপ, হার্টের অসুখ ইত্যাদি) অর্থাৎ যাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) কম .. তারা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে তা অত্যন্ত বিপদজনক এমনকি মৃত্যুও ডেকে আন্তে পারে।
মন্দের ভালো- এই রোগে শিশু মৃত্যুর হার অত্যন্ত কম।
সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট এই রোগে এ যাবৎ প্রায় ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ মানুষ) আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩৫,০০০ (পয়ত্রিশ হাজার) মারা গিয়েছে যার সিংহভাগ বৃদ্ধ অথবা পূর্ব থেকে অসুস্থ ছিল। এ মৃত্যুযজ্ঞ বেড়েই চলছে !
করোনা ভাইরাস-এর এই প্রজাতি এবং সৃষ্ট COVID -১৯ রোগটি পূর্বে কখনো দেখা যায়নি।
মূলত রোগাক্রান্ত ব্যক্তির, হাঁচি কাশি কিংবা কথা বলার সময় মুখ থেকে ছিটকানো থুতু, লালা অথবা নাকের তরল ইত্যাদির সংস্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। এগোলো সরাসরি নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে ঢুকলে তো বটেই, এমনকি কাপড় চোপড় বা কোনো বস্তুর উপর এই তরল ছিটকালে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কেউ তা স্পর্শ করলে তার হাতে ওই করোনা জীবাণু এসে যাবে এবং ওই ব্যক্তি নিজের মুখের ভিতর , নাকে কিংবা চোখে হাত দিলে ঐসব রাস্তা দিয়ে হাতে থাকা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করবে এবং ধীরে ধীরে শ্বাস তন্ত্রকে (Respiratory system) আক্রমণ করবে।
এই জন্যই সম্ভাব্য করোনা ভাইরাস-এ আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ দূরত্ম (২ মি বা ৩/৪ হাত) দূরে অবস্থান করাটা অত্যন্ত জরুরি। আর আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা, সেবা-সুশ্রতা ইত্যাদির সময় PPE (Personal Protective Equipment)- বিশেষ নিরাপত্তা পোষাক, দস্তানা (Full Hand Gloves), মাস্ক, পা ঢাকা জুতা – ইত্যাদি পরিধান করাটা অপরিহার্য।
এই রোগের লক্ষণগুলো অনেকটাই সাধারণ সর্দি-কাশির (Flue ) মতো।
যে লক্ষণগুলো সবচেয়ে বেশি মানুষের দেখা গেছে তা হলে- জ্বর, দুর্বলতা, শুষ্ক কাশি ও শ্বাসকষ্ট।
অনেক রুগীর শারীরিক ব্যথা, বদ্ধ-নাক, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ব্যথা কিংবা ডায়রিয়া ইত্যাদি এক বা একাধিক লক্ষণ-ও দেখা গেছে। তবে এসব লক্ষণ সাধারণত ধাপে ধাপে হয় এবং হালকা ধরণের হয় । (আবার .. এই রোগে আক্রান্ত অনেকের কোনো লক্ষণ-ই দেখা যায় নাই এবং এবং তারা তেমন অসুস্থতা-ও অনুভব করে নাই)।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (WHO)-র বর্তমান ‘করোনা’ মহামারী পরিস্থিতিতে পরামর্শ হলো – জ্বর, সর্দি-কাশি কিংবা শ্বাস কষ্ট হলেই চিকিৎসকের শরণাপণ্য হওয়া।
# নিজেকে করোনা’র সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতাকে সর্বাধিক গুরুত্ম দিতে হবে।
• লেগে থাকা জীবাণু ধ্বংসের জন্য দুই হাত যথাযথ ভাবে সাবান-পানি দিয়ে অথবা এলকোহল-বেইসড হ্যান্ড ক্লিনার দিয়ে নিয়মিত ধুয়ে শুকাতে হবে।
• মুখের ভিতর, নাকে বা চোখে হাত না দেয়ার অভ্যাস করতে হবে। না হলে হাতের জীবাণু এসবের ভেতর দিয়ে শরীরের শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করবে।
• ঘরের দরজার কড়া, হাতল, কম্পিউটার, পানির ট্যাপ, টিভি রিমোট, ইলেকট্রিক সুইচ … ইত্যাদি যা সবাই স্পর্শ করে / ব্যবহার করে সেগুলো সাবান পানি বা এলকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
# মহামারীর এই সময়ে বাসা থেকে না বেরুনোই ভালো। আর একান্ত প্রয়োজনে বের হলেও .. যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে বেরুতে হবে।
• মাস্ক পড়া একটা ভালো অভ্যাস
• ‘নিরাপদ দূরত্ম’ (২ মিটার বা ৩/৪ হাত) রক্ষা করতে হবে হাঁচি কাশি দেয়া ব্যাক্তি (সম্ভাব্য করোনা রোগী?) থেকে।
# বাইরে থেকে ফেরার পর
• ঘরে ঢুকার আগে বাইরের পোশাক, জুতা ইত্যাদি বাইরে রাখতে হবে, , সঙ্গের জিনিস পত্র, জুতা ইত্যাদি সাবান-পানি বা এলকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার ছিটিয়ে সম্ভাব্য জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
• হাত সাবান দিয়ে ভালো ভাবে (২০ সেকেন্ড ) ফেনা করে ধুয়ে শুকাতে হবে, সাবান পানি না থাকলে এলকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার-ও ব্যবহার করা যেতে পারে।
• ঘরের দরজার কড়া, হাতল, কম্পিউটার, পানির ট্যাপ, টিভি রিমোট, ইলেকট্রিক সুইচ … ইত্যাদি যা সবাই স্পর্শ করে / ব্যবহার করে সেগুলো সাবান পানি বা এলকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
• সাধারণ কাপড় ধোয়ার পাউডার এই জীবাণু ধ্বংসে সক্ষম – তাই বাইরে থেকে ফেরার পর পোশাক-আশাক সতর্কতার সাথে ধুয়ে ফেলে রোদে শুকাতে হবে।
# চিকিৎসা, সেবা সুশ্রষার কিংবা অন্য প্রয়োজনে আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে সরাসরি যোগাযোগ বা সংস্পর্শের প্রয়োজন হলে
• PPE (Personal Protective Equipment)- বিশেষ নিরাপত্তা পোষাক, দস্তানা (Full Hand Gloves), মাস্ক, পা ঢাকা জুতা – ইত্যাদি অবশ্যই পরিধান করতে হবে।
• – লক্ষণ দেখা যাক না যাক … ন্যূনতম চৌদ্দ (১৪) দিন নিজেকে ঘরে ‘স্বতঃ -আবদ্ধ’ (Self Isolation)-বা একাকী বন্দি করে রাখতে হবে.. যাতে শরীরে ভাইরাস আসলেও তা যেন আর করো শরীরে সংক্রমিত না হতে পারে।
মনে রাখা দরকার – করোনা ভাইরাস-এর এখনো কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি এবং যেহেতু .. স্বাভাবিক সুস্থ মানব দেহে এটি “সর্দি-কাশি -জ্বর -ব্যথা” ইত্যাদি ছাড়া তেমন কোনো জটিলতা সৃষ্টি করে না .. তাই ১৪ দিনের সেলফ কোয়ারেন্টাইন-ই সর্বোত্তম ব্যবস্থা বলে বিশ্বে সর্বত্র গ্রহণযোগ্য। তবে স্বাসকষ্ট কিংবা অন্য যে কোনো রকমের জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই হাসপাতালে বিশেষিত চিকিৎসা নিতে হবে।
# করোনা মহামারীর এই সংকটময় সময়ে গৃহের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা-ও গুরুত্বপুর্ণ
• ঘরের দরজা জানাল খোলা রেখে পর্যাপ্ত রৌদ্র / আলো বাতাস চলাচল করাতে হবে।
• বাইরের পোশাক আশাক, জুতা, জিনিস পত্র বাইরে থাকাই ভালো।
• ঘরের দরজার কড়া, হাতল, কম্পিউটার, পানির ট্যাপ, টিভি রিমোট, ইলেকট্রিক সুইচ … ইত্যাদি যা সবাই স্পর্শ করে / ব্যবহার করে সেগুলো নিয়মিত সাবান পানি বা এলকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
সাধারণ সংজ্ঞায় -বাতাসের মাধ্যমে ছড়ানো রোগগুলোকে ‘বায়ু বাহিত’ (Air-borne ) বলা হয়. সে অর্থে – ‘বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা’র () ওয়েব সাইট-এ Covid-19 / করোনা’কে ‘বায়ু বাহিত’ (Air borne) ঘোষণা করা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল – রোগীর মুখ / নাক থেকে বেরিয়ে, ভারী হওয়ায় ‘তরল-কণা’ হিসাবে এই ভাইরাস-টি বাতাসে না ভেসে দ্রুত মাটিতে অথবা কাছের বস্তুর উপর পরে যায় ,যা পবর্তীতে কেউ স্পর্শ করলে তার শরীরে সংক্রামিত হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে প্রেস ব্রিফিং-এ উল্লেখ করা হয়েছে যে – এটি অনুকূল পরিবেশে (বায়ু’র আদ্রতা, তাপমাত্রা, প্রবাহ ভেদে) জ্বলীয় কণা’র মতো বাতাসে ভেসে থাকতে পারে এবং ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ‘সংক্রমণ-উপযোগী’ থাকতে পারে।
তাই WHO -এর বর্তমান পরামর্শ হলো – একে ‘বায়ু- বাহিত’ (Air borne) রোগ হিসাবে গণ্য করে সেই অনুযায়ী-ই সতর্কতা পালন করা।
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (WHO) -এর মতে, করোনা ভাইরাস-এর ‘সুপ্ত-জীবন’ (Incubation Period) (আক্রান্ত হওয়া থেকে লক্ষণ প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত) এক থেকে চৌদ্দ দিন, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গেছে – পাঁচ দিন।
এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত নয় COVID -১৯ সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাস আসলে কতক্ষন জীবিত থাকে বস্তুর উপর। গবেষণায় দেখা গেছে কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত তা জীবিত থাকতে পারে .. নির্ভর করে বস্তুটি কি ধরণের, আবহাওয়া , তাপমাত্রা, আদ্রতা ইত্যাদি।
‘নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন ‘-এর মতে যেহেতু – বাতাসে (‘এরোসল’ রূপে) এই ভাইরাস-এর ক্ষতিকর স্থায়িত্বকাল ৩ ঘন্টা, প্লাস্টিক এবং স্টিল (স্টেইনলেস) দ্রব্যের উপর এর সক্রিয় / ক্ষতিকর স্থায়িত্বকাল ৭২ ঘন্টা / কার্ডবোর্ড-এর উপর ২৪ ঘন্টা এবং তামা (Copper) বস্তুর উপর ৪ ঘন্টা – সেহেতু, বাতাসে বাহিত (Air borne) হয়ে এই ভাইরাস-এর অন্যকে আক্রান্ত করা সম্ভব।
তাই আমরা এই ওয়েব সাইটের পক্ষ থেকে – ঘরের বাইরে বিশেষত মানুষ জনের উপস্থিতিতে মুখে সবার “মাস্ক ” পরাকে উৎসাহিত করছি। আর কেউ যদি সন্দেহ করে যে কোনো বস্তুর উপর জীবাণু আছে, সে ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবে “জীবাণু-নাশক” দিয়ে তা পরিষ্কার করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (WHO) -এর মতে, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির দ্বারা বাণিজ্যিক দ্রব্য/ প্যাকেজ ইত্যাদি জীবাণুযুক্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা কম। তাই বিভিন্ন দেশের / এলাকার ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ আর তাপমাত্রার মধ্যে দিয়ে আসা এসব প্যাকেজ সমূহ থেকে গ্রাহকের করোনা / COVID -১৯ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনাও কম।
তবে আমাদের মতে … সাবধান হতে ক্ষতি নেই – তাই কুরিয়ার বা পোস্টে আসা দ্রব্যাদি ধরার / ব্যবহারের আগে সাবান-পানি কিংবা এলকোহল-ভিত্তিক স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে সম্ভাব্য জীবাণুমুক্ত করা উচিত , সেইসাথে ভালোভাবে হাত-ও ধুয়ে নিতে হবে।
বিভিন্ন দেশে এর উপর গবেষণা চলছে, কিন্তু – বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থা (WHO) -এর মতে করোনা প্রতিরোধে এখনো কোনো টিকা বা ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি। প্রসঙ্গত- করোনা প্রতিরোধে , চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বা কোনো প্রকারের ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে WHO.
Website
FAQs related to this Website itselfe
‘করোনা’ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে জনস্বার্থে এই ওয়েব সাইট- ব্যক্তি উদ্যোগে অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসীদের বানানো।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাস-এর ভয়াল থাবা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের উপরও পরতে শুরু করেছে।
সামর্থ্যের স্বল্পতা বিপরীতে ঘন বসতির স্বল্প শিক্ষিত বিশাল জনগোষ্ঠীর সম্ভাব্য কোরোনা বিপর্যয় এড়াতে সরকারের সাথে সাথে জনগণকেও অসম্ভব সচেতন এবং সক্রিয় হতে হবে, আর এই সচেতনতা বাড়ানোর মিশন নিয়েই আমাদের এই ওয়েব সাইট।
আমাদের এই ওয়েব শীতের মাধ্যমে ইন্টারনেট ভিত্তিক উন্মুক্ত তথ্য ভান্ডারের সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য / উপাত্ত শেয়ার করে দেশের মানুষকে করোনা’র উপর আরো সচেতন এবং সক্রিয় করার চেষ্টা থাকবে।
বিশ্বজুড়ে কোরোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি, করোনা লড়াইয়ে সফল দেশগুলোর গৃহীত পদক্ষেপ, ক্ষতিগ্রস্থ দেশ গুলোর ব্যর্থতার চিহ্নিত কারণ, পেশাজীবীদের মতামত … ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আলোকপাতের চেষ্টা থাকবে। সেই সাথে কোরনা-র মোকাবেলায় সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবিত পরামর্শগুলো বাংলাদেশের পটভূমিতে কিভাবে সফলভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে – তা আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু হবে।