
মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্কতা হিসাবে স্বতঃ গৃহবন্দী (Self Isolation)-পালন করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্বের সরকারি-বেসরকারি নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েব সাইটের পরামর্শের আলোকে বাংলাদেশের পটভূমিতে করণীয় একটি তালিকা এখানে জনস্বার্থে উপস্থাপন করা হলো :
** ‘করোনা’ ধরা পড়লে:
- চিকিৎসকের উপদেশ মতো ব্যবস্থা নিতে হবে।
- ‘স্বতঃ গৃহবন্দী’ (Self Isolation)-এ একাকী যাওয়াটা জরুরি,
- যদি একাকী থাকা সম্ভব না হয় তবে নিজ ঘরে থাকলেও , পরিবারের বাকি সবার সাথে নিরাপদ দূরত্ব পালন করতে হবে,
- মাস্ক পড়তে হবে সবাইকে , বিশেষত রুগীকে,
- রুম / বিছানা / বাথরুম/ টয়লেট / ব্যবহার্য (গ্লাস, প্লেট, ইত্যাদি) আলাদা হতে হবে – যা অন্যরা ব্যবহার করবে না.
** এছাড়াও করোনা থাকলে তো বটেই , না থাকলেও নিচের আরো কিছু ধাপ পালন করতে হবে সবাইকে স্বতঃ গৃহবন্দী (Self Isolation)-র সময়ে:
- একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির/ সীমানার বাইরে যাবেন না.
- জন-সাধারণের জায়গা গুলো (public place) যেমন রাস্তা ঘাট, দোকান-পাট, পার্ক, বাজার, শপিং সেন্টার ইত্যাদি স্থানে না যাওয়া,
- বন্ধুবান্ধব-আত্মীয় পরিজন, প্রতিবেশী -এমনকি ফকির, ডাক পিওন, , ছুটা বুয়া – বাইরের কাউকেই ঘরে প্রবেশ করতে না দেয়া,
- সব ধরণের আড্ডা, দাওয়াত বন্ধ – খাওয়া কিংবা খাওয়ানো দুটোই বন্ধ !
- বন্ধুবান্ধব- স্বজন- সবার সাথে যোগাযোগ হবে নিয়মিত – মোবাইলে, ফোন কিংবা ফেস বুক-এ / চ্যাট-এ (ইন্টারনেটে) -কিন্তু সামনাসামনি নয়। .
- একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র (ওষুধ, খাবার, চিঠিপত্র ইত্যাদি) আদান প্রদান হবে ঘরের বাইরে – সম্মুখ যোগাযোগ ছাড়া – অর্থাৎ জিনিসটি সীমানা/ গেইট-এর বাইরে রেখে দূরে সরে থাকবে একজন এবং আরেকজন এসে তা গ্রহণ করবে, প্রয়োজনীয় আলাপ মোবাইলে সারতে হবে।
- বাইরে থেকে আসা চিঠি / পার্সেল / প্যাকেট / খাবার/ কেনা কাটার জিনিস .. ইত্যাদি – স্পর্শ করার আগে / ব্যবহারের আগে – সাবান/ জীবাণু নাশক দিয়ে সম্ভাব্য জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- ঘরের ফার্নিচার, দরজার নব, চেয়ার টেবিল, মেঝে , রিমোট, কম্পিউটার, ইত্যাদি নিয়মিত ‘জীবাণুনাশক’ (disinfectant ) দিয়ে মুছতে হবে।
- ঘরের দরজা -জানাল খুলে রেখে আলো -বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে,
- এই সময়ে শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক সুস্থতা দু-ই যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম, বাগান করা, ঘরের কাজ ইত্যাদির মাধ্যমে কর্মঠ থাকুন এবং ধর্ম চর্চা , পরিবারের সাথে সময় কাটানো, ফোন / ফেস বুকে বন্ধু, আত্মীয় পরিজনের সাথে যোগাযোগ, টিভি-তে সিনেমা দেখা, গান শোনা , গল্পের বই পড়া ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করুন। সারাক্ষন টিভি- রেডিও, / পত্রিকায় – ‘করোনা’ আলোচনার উপর ব্যস্ত না থেকে মাঝে মধ্যে রিল্যাক্স করতে হবে।